ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাত শেষ হওয়ার দু’দিন পার হলেও এখনো সারা দেশে মোবাইল অপারেটরদের ৭ হাজার ৩৬৪টি সাইট সচল হয়নি। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর সার্বিক নেটওয়ার্কের অচল সাইটের সংখ্যা কমেছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ৬৪টি জেলায় বিদ্যুতের অভাবে প্রায় ৫৬ শতাংশ সাইট অচল হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে এটি উন্নীত হয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হালনাগাদ তথ্য থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগ থেকে প্রকাশিত ৬৪ জেলায় অবস্থিত মোবাইল অপারেটরদের সাইট সচলের অগ্রগতির পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার সাইট সচল হয়েছে। তবে এখনো ৭ হাজার ৩৬৪টি সাইট চালু করা সম্ভব হয়নি। অচল সাইটের শতকরা হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।

অপরদিকে, মোবাইল নেটওয়ার্কে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত রোববার (২৬ মে) রাত ১০টায় ১৭টি জেলায় অচল সাইটের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৬০টি (৩২ শতাংশ)। সোমবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় ৪৫টি জেলায় এর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৪১০টি (২৮ শতাংশ), বিকেল ৪টায় ৬৪টি জেলায় এর সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ২১৮টি (৪৮ দশমিক ৭১ শতাংশ), রাত ১০টায় ৬৪টি জেলায় এর পরিমাণ ছিল ৫৫ শতাংশ। এরপর মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় ৬০টি জেলায় অচল সাইটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ হাজার ৯০৬টি (৫৬ শতাংশ), দুপুর ৩টায় ৫৯ জেলায় অচল সাইটের সংখ্যা কমে হয় ২০ হাজার ১৪৩টি (৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ)। আর আজ সকাল ৯টায় ৪১টি জেলায় অচল সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৬৪টি (১২ দশমিক ৬ শতাংশ)।

এ ছাড়া ২৩টি জেলায় অচল সাইটের সংখ্যা শতকরা ৫ শতাংশের নিচে থাকায় সেসব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবমুক্ত ধরা হয়েছে।

মোবাইল অপারেটরদের এসব সাইট অচল হওয়ার জন্য দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকাকে দায়ী করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ দেওয়ার পর থেকে সাইটগুলো সচল হতে শুরু করেছে বলে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরএইচটি/এসএসএইচ