কালো টাকা সাদা করে মামলার আসামি কাস্টমস কর্মকর্তা মনিরুল
৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সাবেক সহকারী কমিশনার মো. মনিরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (২৯ মে) দুদক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ঠাকুরগাঁওয়ে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের সহকারী কার্যালয়ে থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।
আসামি মো. মনিরুল হক সরকার ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে মোংলা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে একই পদে সদর দপ্তর ঢাকা পশ্চিমের কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটে যোগ দেন। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামির নিজ নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় তিনি ১৯৯৬-১৯৯৭ করবর্ষে আয়কর নথি দাখিল করেন। তবে তার ২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে আয়কর নথি পাওয়া যায়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ২২ লাখ ২ হাজার টাকা ১৯ বি ধারায় প্রদর্শনপূর্বক কর পরিশোধসহ নিট আয়/সঞ্চয় পাওয়া যায় ২৯ লাখ ১১ হাজার ১১ টাকা। ওই করবর্ষ থেকে ২০২২-২০২৩ পর্যন্ত মোট আয় প্রদর্শন করেছেন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৬ টাকা। যার মধ্যে ১৯ বিবিবিবিবি ধারায় প্রদর্শিত আয় ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার কোনো উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
এজাহারে বলা হয়, কর ও পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৬১৯ টাকা।
তবে দুদকের অনুসন্ধানে আসামির নামে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। বাবার কাছ থেকে দান হিসেবে পাওয়া ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বাদে তার নিট সম্পদ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ১৬০ টাকা।
এজাহারে বলা হয়, তার নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৪১ টাকা। তিনি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ১৯ এএএএএ ধারায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০ টাকা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন। তবে ওই টাকার কোনো উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
আসামির বিরুদ্ধে ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরএম/এসএসএইচ