শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করে গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অনুষ্ঠাতব্য এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্স অন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট ২০২৪, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শিশুর সুরক্ষা এবং শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে শিশু আইন- ১৯৭৪ প্রণয়ন করা হয়। যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন চাহিদা দেখা দিচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ২০১১ সালে জাতীয় শিশুনীতি আপডেট করে, যা প্রথম ১৯৯৪ সালে গৃহীত হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রচুর গবেষণা এবং তথ্যে দেখা যায় প্রাক শৈশব বিকাশে বিনিয়োগ অসাধারণ অর্থনৈতিক সুবিধা এনে দেয়। বিশ্বব্যাপী এটি স্বীকৃত যে প্রাক শৈশব বিকাশ একটি স্মার্ট বিনিয়োগ। বলা হয় যত আগে বিনিয়োগ ভবিষ্যতে তত বেশি রিটার্ন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং শিক্ষার মতো শিশুদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা তাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেন তারা তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে। অপর্যাপ্ত শিশু যত্ন, পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিরোধমূলক ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গর্ভবতী-স্তন্যদানকারী মা এবং দুর্বল ও অসহায় পরিবারের শিশুদের সহায়তার জন্য একটি মা ও শিশু সুবিধা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি সুবিধাভোগী গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের পরে পুষ্টি এবং শিশু যত্নের জন্য তাদের অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে ৩৬ মাসের জন্য একটি মাসিক নগদ সাহায্য পান। ২০২২-২৩ সালে এই প্রোগ্রামটি সাড়ে ১২ লাখ নারী ও শিশুকে কভার করেছে।

এমএম/এমজে