কলকাতার সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার
কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহের অংশ।
তবে এই দেহাংশ যে আনোয়ারুল আজিম আনারের তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিজ্ঞাপন
সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতায় যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আব্দুল আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কলকাতা স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি সংসদ সদস্য আনারের কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তাছাড়া কলকাতা সিআইডি বা পুলিশ আমাদের এখনও অফিসিয়ালি নিশ্চিত করেনি।
‘আমরা এই মুহূর্তে ঘটনা তদন্তের স্বার্থে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি খালে তল্লাশীর কাজ পরিদর্শনে রয়েছি। এর মধ্যে আমরা এই তথ্য পেয়েছি। আমরা এখন ঘটনাস্থলের (সঞ্জিভা গার্ডেন) দিকে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারব।’
আরও পড়ুন
তিনি আরো বলেন, মরদেহ বা দেহাংশ উদ্ধার হলেও সেটি যে সংসদ সদস্য আনারের তা আগাম বলার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্ট করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে ডিবি সূত্র বলছে, ভারতের সিআইডি সেপটিক ট্যাংক-এ তল্লাশি করে আশানুরূপ ফল পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদ হাওলাদার বলেছিল প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশ কমোডে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, কলকাতা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ হাওলাদার বলেছিলেন, প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশ ফেলে দিয়েছিলেন। সেই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ সকালে সিআইডিকে অনুরোধ করেছিলাম ওই বাড়িতে তল্লাশি করার জন্য। সন্ধ্যায় তারা সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি করে একটি মরদেহের খণ্ডিতাংশ পেয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। তবে এটি এমপি আনারের কি না তা আমরা বা তারা কেউ নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে তারা আমাদের আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের খবর দেখে এমপি আনারের মেয়ে ডরিন আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি তাকে দ্রুত এখানে আসতে বলেছি। তিনি আসলে পরীক্ষাটা দ্রুত করানো যাবে।
হারুন বলেন, আমরা কাল সকালে কলকাতা সিআইডি কার্যালয়ে যাব। মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধারের বিষয়টি অফিসিয়ালি নিশ্চিত হতে হবে। সেটা যে সংসদ সদস্য আনারের তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। আমরা আগে নিশ্চিত হই। তারপর রক্তের সম্পর্কের কাউকে কলকাতায় ডাকা হবে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য।
জেইউ/এনএফ