ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে গত দুইদিন ধরে মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। মূলত মোবাইল নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এভাবে হঠাৎ করে সাধারণ মানুষ যেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হন, সেজন্য ল্যান্ডফোনে গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকার শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম (অব.)। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, আইএমইডি সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কারণ সবাই এখন মোবাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এতে করে বোঝা যায়, ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব এখনও রয়ে গেছে। এজন্য সারা দেশে ল্যান্ডফোন বিস্তারে গুরুত্ব দিতে বলেছেন সরকার প্রধান।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদেরকে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে আগামী রোববারের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ে নদীর বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো দ্রুত সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, একনেক সভায় আজ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে সাত হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

এসআর/কেএ