ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে তার ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। এর প্রভাব পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতেও। মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে টাওয়ারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়ার সাপ্লাই ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অচল হয়ে পড়েছে ২২ হাজারের বেশি অপারেটর সাইট। এতে দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ গ্রাহকরা পর্যাপ্ত নেটওয়ার্ক সুবিধা পাচ্ছেন না।

মোবাইল অপারেটরগুলো বলছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে কমবেশি ২৫ হাজারের মতো টাওয়ার। তবে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ায় জেনারেটরসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রায় ৩ হাজার টাওয়ার সচল করা গেছে। এতে গ্রাহকরা এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন অবস্থা থেকে কিছুটা নেটওয়ার্ক সুবিধা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সবশেষ তথ্য বলছে, বরগুনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ভোলা, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরিশাল, যশোর, খুলনা এলাকায় সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক সাইট অচল হয়েছে।

নেটওয়ার্ক সচল করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি

সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ আইন বোর্ডসহ সাতটি দপ্তর, একজন উপসচিব ও সাতটি বিভাগের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

সংস্থাটির মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলো থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে জনসাধারণের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সম্ভবপর হবে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এসব সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা অতি জরুরি। সেজন্য জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে উপকূলীয় জেলাসহ সব জেলায় বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে এবং বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরএইচটি/এসএসএইচ