ব্যতিক্রমধর্মী ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব এখনও দেশব্যাপী অব্যাহত আছে। শুরু থেকেই রহস্যময় আচরণ করছিল রেমাল। চোখ ফোটা ঘূর্ণিঝড়ের এতো কম গতি সবসময় দেখা যায় না।

রেমালের রহস্যময় আচরণের প্রভাবে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকার পাশাপাশি সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) প্রধান গবেষক খালিদ হোসেন।

খালিদ হোসেন জানান, আজকে দুপুরের পর রেমালের প্রভাব কমে আসতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার পর এটি প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়েছে। নিকটতম সময়ে রেমালই সবচেয়ে ধীরগতির সাইক্লোন, অনেক ধীরে ধীরে এটি দুর্বল হয়েছে। শুরু থেকেই রেমাল রহস্যময় আচরণ করেছিল। কারণ এত কম গতির সাইক্লোনের ক্ষেত্রে এত সুন্দর চোখ ফোটা সবসময় দেখা যায় না। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক জ্বলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ধারণা মতে, সিডরের সময়ের চেয়ে সামান্য কম পানি উঠেছে। অনেকেই এবারের পানি বৃদ্ধিকে সিডরের সঙ্গে তুলনা করেছে। বিশেষ করে বরগুনা, পটুয়াখালী এবং বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণ। সব মিলিয়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের জন্য রেমাল খুবই ব্যতিক্রমধর্মী সাইক্লোন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি জানান, সাইক্লোনিক ক্রান্তিয় প্রবল শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় তুফানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল, নিচু এলাকাগুলো এবং সিলেট অঞ্চল জলাবদ্ধতা ও সাময়িকভাবে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। বর্তমানে রেমালের কারণে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বহু এলাকা জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে।

বিডব্লিউওটির এই গবেষক আরও জানান, রেমালের পরবর্তী দৃষ্টি সিলেট অঞ্চলে। মূলত ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে নিম্নচাপ অঞ্চল ভারতের মেঘালয় প্রদেশের দিকে তার গতিপথ অব্যাহত রাখছে। এর প্রভাবে ট্রাক লাইনের ডানপাশ ও দক্ষিণ পাশে থাকা বৃষ্টিবাহী মেঘ দ্বারা কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং মেঘালয়ের শিলং এরিয়া ২৮ মে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হতে পারে। যা সিলেট অঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। 

এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টিবলয় তুফান পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় আছে। তাই দূর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া আজ দুপুর পর্যন্ত সারা দেশেই অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সিলেট অঞ্চলে রাত পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে।

এসআর/এসএম