ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের অন্যান্য জেলার মতো রাজধানী ঢাকাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এই বৃষ্টির মধ্যেই টিনের বেড়া, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্পর্শ এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মরিয়ম বেগম (৪৫), লিজা আক্তার(১৫) এবং মো. রাকিব (২৫)।

সোমবার (২৭ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের আলাদা তিনটি ঘটনায় তারা প্রাণ হারান।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহত লিজা আক্তারের বোন মরিয়ম বলেন, ‘আমরা যাত্রাবাড়ি থানার দরবার শরীফ, সামেদ ভূইয়ার বাসার ভাড়াটিয়া। আমার বোন বাসার পাশের টিনের বেড়া স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে রাত সাড়ে ১০ টায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানা এলাকায়। আমার বাবার নাম সিরাজ খান।’

মরিয়ম বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা নাহিদ বলেন, ‘খিলগাঁও সিপাহিবাগ এলাকায় আইসক্রিম গলিতে বৃষ্টির পানি দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্পর্শ লেগে অচেতন হয়ে পড়েন মরিয়ম বেগম নামে এক নারী। পরে আমিসহ অন্যান্য লোকজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সিপাহিবাগ এলাকায় থাকতেন।’

অপরদিকে খিলগাঁও তালতলা এলাকায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা গ্যারেজে রেখে চার্জ দেয়ার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন মো. রাকিব। পরে তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা নাজমুল জানিয়েছেন, ঝালকাঠি সদর থানার উত্তর চরাইল গ্রামের মো: দুলাল মিয়ার ছেলে ছিল সে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজধানীতে তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ঘটনা তিনটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

এসএএ/এমটিআই