ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং স্থল নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট ঝড়, দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টির ফলে দেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত মোবাইল অপারেটরদের ৪৮.৭১ শতাংশ সাইট অচল হয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রায় সব ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে এসব সাইট অচল হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে বিটিআরসি মনিটরিং সেল কর্তৃক বিকেল ৪টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে সারা দেশে মোবাইল অপারেটরগুলোর ৪৫ হাজার ৬১০টি সাইট রয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ২১৮টি সাইট বর্তমানে অচল। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে চার্জের অভাবে এসব সাইট অচল হয়ে পড়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রোববার (২৬ মে) রাত ১০টায় ১৭টি জেলায় অচল সাইটের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৬০টি ( ৩২ শতাংশ। সোমবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় ৪৫টি জেলায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪১০টি (২৮ শতাংশ) এবং বিকেল ৪টায় এর পরিমাণ বেড়ে ৬৪টি জেলায় ২২ হাজার ২১৮টি (৪৮ দশমিক ৭১ শতাংশ) হয়েছে।

নেটওয়ার্ক সচল করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি

সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ আইন বোর্ডসহ মোট সাতটি দপ্তর এবং একজন উপসচিব এবং সাতটি বিভাগের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

সংস্থাটির মহাপরিচালক (ইএন্ডও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার মোবাইল অপারেটরদের সাইটগুলো থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে জনসাধারণের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্ভবপর হবে না।

তিনি জানান, এসব সাইটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা অতি জরুরি। সেজন্য দুর্যোগ জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে উপকূলীয় জেলাসহ সব জেলায় বিদ্যুৎ প্রবাহ করে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। 

আরএইচটি/কেএ