ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তীতে এফএসআরইউয়ের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এলএনজি সরবরাহও।

সোমবার (২৭ মে) এক বার্তায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এলএনজি স্থাপনাগুলোর কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। যদিও এখনো প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস-সহ বৃষ্টি ও প্রবল ঢেউ বিদ্যমান রয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হ্রাসকৃত এলএনজি সরবরাহ গতকাল (রোববার) বিকেল থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে বর্তমানে তা ১০০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। আজ দুপুর থেকে তা ১০১ কোটি ঘনফুটে উন্নীত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (২৬ মে) পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ ৭০ কোটি ঘনফুট কমে গেছে। এতে শিল্প ও আবাসিকে চলমান গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৪ মে) রাতে পেট্রোবাংলার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

শুক্রবার নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হতে থাকলে দুর্ঘটনা রোধে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে থাকা দুই এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়। পেট্রোবাংলা জানায়, শুক্রবার রাতেই এলএনজি সরবরাহ ১০৮ কোটি ঘনফুট থেকে ৩৮ কোটি ঘনফুটে নেমে আসে।

এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায় প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট। এ কারণে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংও বেড়ে যায়।

ওএফএ/এসএসএইচ