ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দুই নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও আটজন পুরুষ।
সোমবার (২৭ মে) মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
তারা হলেন খুলনার লালচাঁদ মোড়ল, বরিশালের জালাল সিকদার, মো. মোকলেছ ও লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরার শওকত মোড়ল, পটুয়াখালীর মো. শরীফ, ভোলার জাহাঙ্গীর, মাইশা ও মনেজা খাতুন এবং চট্টগ্রামের সাইফুল ইসলাম হৃদয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় বসতঘরের ওপরে গাছ পড়ে মৃত গহর আলী মোড়লের ছেলে লাল চাঁদ মোড়ল (৩৬) মারা গেছেন। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মৃত নরিম মোড়লের ছেলে শওকত মোড়ল (৬৫) সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
বরিশালে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার আজমত আলী শিকদারের ছেলে জালাল শিকদার (৫৫) বাজারে যাওয়ার পথে গাছের ডাল ভেঙে মারা গেছে। বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লিলি পম্পের দক্ষিণ পাশে মেঘা কিচেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের উত্তর পাশের দেয়াল ভেঙে পার্শ্ববর্তী হোটেলে কর্মরত অবস্থায় মারা গেছেন মো. মোখলেছ (২৮)। এছাড়া, একই স্থানে একই কারণে আমজাদ হালদারের ছেলে মোহাম্মদ লোকমান হোসেন (৫৮) মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে মারা গেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. শহীদ (২৭)। এখন পর্যন্ত ভোলায় বোরহানউদ্দিন দৌলতখান ও লালমোহনে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভোলার বোরহানউদ্দিনে গাছ চাপায় মারা গেছেন জাহাঙ্গীর (৫০) নামের এক ব্যক্তি। দৌলতখান উপজেলায় গাছ চাপায় মারা গেছে মোহাম্মদ মনিরের কন্যাশিশু মাইশা (৪)। এছাড়া, লালমোহনে টিনের ঘরের আড়ার নিচে পড়ে মনেজা খাতুন (৫৪) নামের এক নারী মারা গেছেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন টেক্সটাইল জেড এলাকায় খলিলের বাড়ির বিপরীতে নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এএইচআর/কেএ