ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান / স্ক্রিনশট / উইন্ডি.কম

ঘূর্ণিঝড় সাধারণত উপকূলে পৌঁছানোর পর দুর্বল হয়ে পড়ে, তবে রেমাল তীব্রতা ধরে রেখে উপকূলের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও কয়েক ঘণ্টা তীব্রতা বজায় রাখবে।

রোববার (২৬ মে) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি বজায় রেখে বর্তমানে দেশের উপকূল অতিক্রম করছে। এটি আগামীকাল সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল নাগাদ দুর্বল হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের তাপমাত্রাও কমার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়টি অতীতের আইলা এবং সিডরের মতো শক্তিশালী নয়।

এদিকে রাতে আবহাওয়ার ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এমএইচএন/এমজে