ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাতের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে শতাধিক গ্রামে। তলিয়ে গেছে সেসব গ্রামের ফসলের মাঠ।

রোববার (২৬ মে) রাতে আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা করছে, পানির প্রবাহ তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানি নেমে গেলে ভাঙন দেখা দিতে পারে।

আগামী দু-একদিন পানি জমে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিভাগের ছয় জেলায় পাঁচ শতাধিক মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছেন।

বিভাগের ৪ হাজার ২৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ৬ হাজার ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে।

এমএইচএন/এমজে