রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় রনি নামে এক বাড়িওয়ালাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ভাড়াটিয়া মোরশেদ আহম্মেদকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িওয়ালা রনি ও তার বন্ধুদের কারণে মোরশেদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতো। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে ছুরিকাঘাতে রনিকে হত্যা করেন মোরশেদ।

শনিবার (২৫ মে) জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোরশেদ জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি গ্রামের মৃত শহীদ আহম্মেদের ছেলে। 

রোববার (২৬ মে) দুপুরে তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন জানান, মোরশেদ যে বাসায় ভাড়া থাকেন, রনি সেই বাসার মালিক। রনি ও তার বন্ধুদের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারতেন না মোরশেদ। যে কক্ষ মোরশেদ ভাড়া নেন, সেই কক্ষেই রনি ও তার বন্ধুরা তাস খেলেন, মাদকসেবন করতেন। এসব কারণে মোরশেদকে প্রায়ই দেরিতে ঘুমাতে হতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাগবিতণ্ডাও হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল পাননি মোরশেদ। 

তিনি আরও জানান, শনিবার (২৫ মে) রাতেও সেই কক্ষে রনি তার বন্ধু মশিউর, বায়জুদুল ইসলাম, একিন, অবিতকে নিয়ে তাস খেলছিলেন। পরে মোরশেদ আসার পর তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মোরশেদ ছুরি দিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। 

এ সময় রনির বন্ধুরা চিৎকার করলে রনির ভাই রফিক ছুটে আসেন। তিনি বাধা দিতে চাইলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মোরশেদ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রনি ও রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরপরই জামালপুর পালিয়ে যান মোরশেদ। পরে  কৃষকের ছদ্মবেশে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জেইউ/কেএ