ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের অনেক অঞ্চলের আকাশ মেঘলা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝরছে গুড়ি গিড়ি বৃষ্টি। পরিস্থিতি কতটা গুরুতর হতে পারে তা আগে থেকে আঁচ করা সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। তাই বলে প্রস্তুতি থাকবে না? সম্ভাব্য বিপর্যয়কে নগণ্য করে দেখাও ঠিক নয়।

যে কোনো বড় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সামলাতে কিছু পূর্বপ্রস্তুতি লাগে। তাই পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে কিছু জিনিস সবসময় হাতের কাছে রাখা ভালো। সাইক্লোন রেমালের সময়ও এই জিনিসগুলো কাজে লাগবে। 

ন্যাশনাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, এই জিনিসগুলিকে এমার্জেন্সি কিট বলা হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টি চলাকালীন এই জিনিসগুলি হাতের কাছে রাখুন সবসময়। এতে বড়সড় বিপদ হলেও নিরাপদে থাকা সম্ভব হবে।

সাইক্লোন চলাকালীন কী কী জিনিস কাছে রাখবেন?

একটি ব্যাটারিচালিত টর্চ রাখুন। কারেন্ট অফ হলে দরকার পড়বে। এক্সট্রা ব্যাটারিও সঙ্গে রাখুন। ব্যাটারিচালিত রেডিয়ো সঙ্গে রাখুন। ফার্ট এইড করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কাছে রাখুন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও কাছে রাখুন। 

জরুরি কাগজপত্র সব আলাদা করে রাখুন। যাতে সেগুলো কোনোভাবে পানিতে ভিজে না যায়। এর মধ্যে যেমন মার্কশিট, সার্টিফিকেট রয়েছে, তেমনই পরিচয়পত্রগুলোও রয়েছে।
 
কিছু হালকা ও শুকনো খাবার প্যাকেট করে কাছে রেখে দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সঙ্গে রাখুন। মোমবাতি ও দেশলাই সঙ্গে রাখুন। একটি ছুরি সঙ্গে রাখুন দরকারে।
ক্লোরিন ট্যাবলেট ও পাউডার দিয়ে পানি পরিশ্রুত করা যায় এমন ওয়াটার পিউরিফায়ার রাখুন কাছে। হাতে যথেষ্ট নগদ টাকা রাখা জরুরি।

মোটা দড়ি যদি ঘরে থাকে, তবে সেটি কাছে এনে রাখুন। কোনো কারণে ঘরে পানি ঢুকলে বা বাসযোগ্য অবস্থা না থাকলে দড়ির সাহায্যে জিনিসপত্র বেঁধে বাঁচানো সম্ভব।
জুতাও সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনমতো।

মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখুন। কোনো প্রয়োজন হলে প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে দ্রুত সাহায্য চাইতে পারবেন। ল্যাপটপ ও ফোনের মতো নির্দিষ্ট কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিই শুধু কাছে রাখুন। যা না থাকলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

এসএম