বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ ৭০ কোটি ঘনফুট কমেছে। এতে শিল্প ও আবাসিকে চলমান গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৪ মে) রাতে পেট্রোবাংলার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সোমবার (২৭ মে) পর্যন্ত এ সংকট অব্যাহত থাকতে পারে।

পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় এটি তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হতে থাকলে দুর্ঘটনা রোধে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে থাকা দুই এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই এলএনজি সরবরাহ ১০৮ কোটি ঘনফুট থেকে ৩৮ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে। এটি আরও কমতে পারে।

এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে গেছে। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট। এ কারণে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংও বেড়েছে। সোমবার পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ পরিস্থিতি এমন থাকতে পারে।

এখন দিনে গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ৩১০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজি থেকে পাওয়া যায় ১০৮ কোটি ঘনফুট।

এদিকে শুক্রবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহে স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে।

ওএফএ/এসএসএইচ