ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের স্টার্ট-আপগুলোকে বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ছিল না। তবে বর্তমানে আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে আমরা উৎসাহিত করছি।

ফ্রান্সের প্যারিসে স্টার্টআপ ও প্রযুক্তি ইভেন্টে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২৪ মে) তার দপ্তর থেকে বিষয়টি জানানো হয়।

পলক বলেন, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপদের জন্য নিবেদিত ভিভাটেক-২০২৪ এ প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্ট-আপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমরা এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের স্টার্ট-আপগুলোকে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্টার্ট-আপ ক্যাম্পেইন, এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্ট-আপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ৫০০টি স্টার্ট-আপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আইসিটি সেক্টরে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৩০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আইসিটি খাতে রপ্তানি আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। দেশের প্রায় ২ হাজার ৫০০টি সরকারি পরিসেবা ডিজিটালাইজ এবং ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা করা হয়েছে।

এছাড়া এসব সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০৪১ : স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তববায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরএইচটি/এমএসএ