যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা
‘নারী-পুরুষ সমতা রুখতে পারে সহিংসতা’— স্লোগান নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ, সারাদেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮- ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করা হয়।
নারী পাচার, যৌন হয়রানি ও অন্য সব ধরনের শোষণ বঞ্চনা অবসানের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৪টি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার স্থাপন, ৬৭টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন, জাতীয় পর্যায়ে একটি ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাব, বিভাগীয় পর্যায়ে ৮টি ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব, টোল ফ্রি ১০৯ হেল্পলাইন স্থাপন, ন্যাশনাল ও রিজনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার স্থাপন, ৬টি সেল্টার হোম স্থাপন এবং জয় মোবাইল অ্যাপস তৈরি করেছি।
সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম আওতায় গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে, এমসিবিপি কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে সারাদেশে ১৫ লাখ ৪ হাজার জন মাকে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রান্তিক কিশোর কিশোরীদের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌতুক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমানে ৪ হাজার ৮৮৩টি ক্লাব এবং ১৫০০টি হাব গঠন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহায়তা প্রতিরোধে জাতীয় পরিকল্পনায় মোট ৪০৩টি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নারী ও শিশু প্রতিরোধে ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান বক্তব্য রাখেন।
এসএইচআর/এমএ