চট্টগ্রাম নগরীর এসএপিএল ডিপোতে বৈঠকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলা ও বিভিন্ন হয়রানির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) কর্মচারী ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (২১ মে) এসএপিএল, ইম্পাহানি, ওসিএল ডিপোর কাজ করা থেকে বিরতি রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা।

কর্মবিরতির কারণে ডিপোর আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানি কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসএসিএল ডিপো বৈঠক হয় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের সঙ্গে। পরে রাত ১২টার দিকে কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে বেশ কয়েকজন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছেন বলে দাবি করেছেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের (সিডিএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশরাফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, অনেকদিন যাবত সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে গতকাল রাতে কর্মচারীদের সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের বৈঠক ছিল। রাত ১২টার দিকে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায় ডিপো কর্তৃপক্ষের লোকজন। এতে বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। অনেক মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। আমাদের কয়েকটা মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। কর্মচারীদের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে থানায়ও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ মোশরাফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এ অবস্থায় কর্মচারীরা কীভাবে কাজ করব? সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। আমাদের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের সংগঠনও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

বিকেল সাড়ে ৬টায় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশরাফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমার পতেঙ্গা থানায় রয়েছি, একই মালিকের তিনটি ডিপোতে এসএপিএল, ইম্পাহানি, ওসিএল ডিপোর কাজ করা থেকে বিরতি রয়েছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট (সিএন্ডএফ) কর্মচারীরা।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, আমরা সংঘাত চাই না। তবে লাঠি দিয়ে কাস্টমস এজেন্ট কর্মচারীদের মারা অমানবিক। আমরা এর বিচার চাই।

আরএমএন/এসকেডি