ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ বলেছেন, শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করিনি। আমি মনে করি এটা (মার্কিন নিষেধাজ্ঞা) সম্পূর্ণভাবে আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। আমার ভাই হাঙ্গেরি থাকলেও এটার পুরো প্রসেসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আজিজ আহমেদ বলেন, আল জাজিরাতে অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান দেখানো হলো। আমার ভাইকে মিলিটারি কন্ট্রাক্ট দিয়ে করাপশন করেছি, এই অভিযোগ আনা হয়। তখন ইউএন থেকে বক্তব্য দিয়েছিল। যখন আল জাজিরা এটা প্রচার করে তখন আমি আমেরিকায়। আমি তখন জাতিসংঘ হেডকোয়ার্টারে গিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা যে আমাদের কাছে চেয়েছিলে সেটার সব ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। তোমাদের কর্মকর্তা কেন বলল এমন কিছু হয়নি। তখন তারা বলেছিল, যে এটা সঠিক হয়নি। 

তার দায়িত্বকালে 'ইক্যুপমেন্ট' কেনা হয়নি দাবি করে আজিজ আহমেদ বলেন, এটা (নজরদারির প্রযুক্তি) মিশন এলাকায় দেওয়ার জন্য পারচেজ করা হয়েছিল। আমি চার বছর বিজিবির ডিজি, তিন বছর সেনাপ্রধান ছিলাম। সাত বছরে আমার কোনো ভাইকে আমি একটা কন্ট্রাক্ট দিইনি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত।

সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, বাহিনীর ভাবমূর্তির ব্যাপারে একটা কথাই বলব, সবসময় একটা বিষয় আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিজিবি, আর্মি প্রেস্টিজিয়াস ইনস্টিটিউশন। সবসময় সতর্ক ছিলাম, আমার কোনো কর্মকাণ্ডে যেন এই দুটি বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন না হয়। আমার কাছে মনে হয়, যেহেতু বর্তমান সরকারের সময় আমি সেনাপ্রধান ছিলাম। সরকারকেও হয়ত কিছুটা বিব্রত বা হেয় করার জন্য এই রেস্ট্রিকশনটা হতে পারে।

উল্লেখ্য, আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে চিফ অফ আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন। তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান তিনি।

এর আগে তিনি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। 

সূত্র : বিবিসি বাংলা

এসকেডি