নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার চামুরকান্দী এলাকায় ডাকাতি করতে এসে মূল্যবান জিনিস না পাওয়ায় দুর্বৃত্ত কর্তৃক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

এ ধরনের ডাকাতি চক্রের দ্বারা সহিংসতার ঘটনা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

আজ (মঙ্গলবার) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার চামুরকান্দী এলাকায় দুর্বৃত্তরা ডাকাতি করতে এসে মূল্যবান জিনিস না পেয়ে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে মধ্যরাতে আব্দুল্লাহ ও মতিন ডাকাতির উদ্দেশ্যে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাড়ির জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় নির্যাতনের শিকার কিশোরী ও তার মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে তারা ভয়ে চিৎকার করলে আব্দুল্লাহ ও মতিন তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে আব্দুল্লাহ ও মতিন ঘরের দরজা খুলে দিলে চাঁন মিয়া ও আয়নালসহ অন্য সহযোগীরা দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে বাড়িতে উপস্থিত সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সবার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে থাকে। ঘরের ভেতরে কোনো মূল্যবান জিনিস না পেয়ে ক্ষোভে তারা কিশোরীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি নারী ও কন্যাদের প্রতি ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসায় ঢুকে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তদের দ্বারা কন্যাশিশুরা দলবদ্ধ ধর্ষণের মতো নৃশংস সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ঘরে-বাইরে নারী কন্যাদের স্বাভাবিক জীবন ও তাদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মহিলা পরিষদ উপরোল্লেখিত দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সাথে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।

জেইউ/এনএফ