যেসব পানীয় প্লাস্টিকের বোতলে ও প্লাস্টিক মোড়কে বিক্রি হয় সেগুলোর উপর উচ্চহারে কর আরোপ করা প্রয়োজন বলে মনে করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। 

সংগঠনটি বলেছে, পৃথকভাবে এসব পণ্যের উপর পরিবেশ কর ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর আরোপ করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মোড়কে পানীয় মোড়কজাত নিষিদ্ধ করতে হবে।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পবা লক্ষ্য করেছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত অনুমোদনবিহীন পাঁচটি ইলেকট্রোলইট পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এসব পানীয়গুলো হচ্ছে— একমি ও এসএমসি কোম্পানির এসএমসি প্লাস, প্রাণের অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী কোম্পানির রিচার্জ এবং আকিজের টারবো। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই বাজারে বিক্রি করে আসছিল। ইতোমধ্যে এসএমসি প্লাস নামক পানীয় বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন এবং অনুমোদনের বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করেছেন। নিরাপদ খাদ্য আদালত তাদের ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন এবং বাজার থেকে সব ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।

অসত্য তথ্য দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা ও অনুমোদন ছাড়া পণ্য বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে গত ১৪ মে এ মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান ।

পবা আরও লক্ষ্য করেছে, হাইকোর্ট এসব ক্ষতিকর পানীয় বাজারজাতকারী কোম্পানির মালিককে আদালতে তলব করেছেন। আগামী ৫, ৬ ও ৯ জুন এসব কোম্পানির মালিক আদালতে উপস্থিত হয়ে এসব পণ্য ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস – এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। পবা হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্তকেও অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) মনে করে, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ৫টি পানীয় ছাড়াও বাজারে এনার্জি পানীয় হিসাবে যেগুলো বিক্রি হচ্ছে সেসব পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এসব পানীয় যদি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়, বিশেষত যদি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া যায় তবে সেগুলো নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

এমএইচএন/এসকেডি