কক্সবাজারে বেড়ানোর নাম করে ইয়াবার চালান আনতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন গোপালগঞ্জের ৪ পরিবহন শ্রমিক। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৪৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চলমান রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে এবং বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে সার্বক্ষণিক টহল ও নজরদারি অব্যাহত আছে।

ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভর তত্ত্বাবধানে সূত্রাপুর সার্কেলের উপ-পরিদর্শক আবদুল মতিন মিঞার নেতৃত্বে সূত্রাপুর সার্কেলের একটি টিম আজ (মঙ্গলবার) ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া কলেজের উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর অবস্থান নেয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত ওই অভিযানে এনা ট্রান্সপোর্টের একটি নন এসি যাত্রীবাহী বাস আটকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় যাত্রীবেশে কক্সবাজার থেকে আসা চারজনকে ৫ হাজার ৪৩৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন শওকত আলী শিকদার (৫৪), আল-আমিন কাজী (৩৫), হাচান চৌধুরী ওরফে কামরুজ্জামান হাসান (৩৬) ও শ্যামল দত্ত (৪৫)। চারজনের বাড়িই গোপালগঞ্জে, পেশায় সবাই পরিবহন শ্রমিক।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার শওকত আলী একজন গাড়িচালক হিসেবে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে কাজ করার সময় কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউনুছের সঙ্গে পরিচয় হয়। শওকত আলীর সহযোগী হিসেবে গোপালগঞ্জের আল-আমিন কাজী, হাচান চৌধুরী ও শ্যামল দত্ত কাজ করতেন। শওকত আলী ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউনুছের থেকে ইয়াবা ক্রয় করে গোপালগঞ্জ শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্যদের আটক করতে অভিযান চলমান আছে।

জেইউ/এমএ