কনস্ট্রাকশন অব ড্রেনেজ কাম ফ্লাশিং রেগুলেটর ২ ভেন্ট অন কুলুটিয়া খাল প্রকল্পে শিট পাইল স্থাপনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ এ মামলা করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন— খুলনার মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং-এর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সাতক্ষীরা উপ-বিভাগ-২ পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া ফেরদৌস এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনি দাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কনস্ট্রাকশন অব ড্রেনেজ কাম ফ্লাশিং রেগুলেটর ২ ভেন্ট অন কুলুটিয়া খাল প্রকল্পে নকশাবহির্ভূতভাবে ছয় মিটারের শিট পাইলের স্থলে তিন মিটার শিট পাইল ব্যবহার করেছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন পর্যবেক্ষণে প্রকল্পে মোট ১৪০টি শিট পাইল স্থাপনে ওই অনিয়মের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। এমনকি পাউবো’র নিজস্ব প্রকৌশলীর তদন্তেও ১০৩টি পাইল স্থাপনে ৬ মিটারের পরিবর্তে ৩ মিটারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য অনুযায়ী দুদকের অভিযানের তথ্য পেয়েও ৩৫টির মতো শিট পাইল উত্তোলন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে ঠিকাদার। এসব অনিয়মের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের হয়েছে।

এর আগে ১৪ মে প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পান অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা। অভিযান পরিচালনার ৬ দিনের মাথায় অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের করলো সংস্থাটি।

আরএম/এমজে