ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ডি-এইট দেশগুলোর মধ্যে কোনো ইস্যুতে আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তির জন্য তৈরি করা ‘প্রোটোকল টু দ্য ডি-এইট পিটিএ অন ডিসপ্যুট সেটেলমেন্ট মেকানিজম’-এর খসড়ায় বাংলাদেশের স্বাক্ষর করার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডেভেলোপিং এইট বা ডি-এইট নামে ওআইসির মধ্যে ছোট একটা গ্রুপ আছে। সেখানে আট দেশ আছে। সেগুলো হলো— মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও বাংলাদেশ। দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল ২০০৬ সালে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চুক্তির আওতায় তারা পণ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল। তবে, দেশগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে ডিসপ্যুট (আপত্তি) তৈরি হয়। সেই ডিসপ্যুটটা কীভাবে সমাধান করবে সেটি ওই চুক্তিতে ছিল না। ডিসপ্যুট যদি হয়, সেটি কীভাবে নিষ্পত্তি হবে... সেজন্য প্রোটোকলটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই প্রটোকলের আওতায় যেটি মূলত করা হয়েছে, এখন থেকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে প্রথম ডিসপ্যুট নিরসন করবে। যদি আলোচনার মাধ্যমে না হয় তখন ডি-এইটের তত্ত্বাবধানে একটা প্যানেল হবে। প্যানেলে যে রায় হবে, সেই রায়টি মেনে নিতে হবে। 

এ চুক্তিতে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

এসএইচআর/কেএ