রাজধানীর বাড্ডা থেকে ২ বছর বয়সী মোসাম্মদ মরিয়মকে অপহরণের ঘটনায় সুমাইয়া নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুমাইয়া শিশু অপহরণ ও ঢাকায় শিশু কেনাবেচা চক্রের হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২০ মার্চ) সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাড্ডা থানা পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ১১টায় বাড্ডা থেকে শিশু মরিয়মকে অপহরণ করে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে নিয়ে যায় সুমাইয়া। পরে মরিয়মের বাবা-মার কাছে টেলিফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে। এবিষয়ে মরিয়মের বাবা-মা বাড্ডা থানায় অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী বলেন, গতকাল সকালে বাড্ডা থেকে ২ বছরের একটি শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চাঁদপুর থেকে অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী নারীকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছি।

বাড্ডা থানা পুলিশ জানায়, মরিয়মের বাবা মো. মনু কমলাপুর রেলস্টেশনে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তিনি তার স্ত্রী ও ২ বছর বয়সী শিশু কন্যাসহ উত্তর বাড্ডায় থাকেন। তার প্রতিবেশী সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। সুমাইয়া পরিকল্পনা করছিল মনু মিঞার ২ বছর বয়সী শিশু কন্যা মরিয়মকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করবে।

পুলিশ আরও জানায়, সুমাইয়ার পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক মনুর শিশুকন্যা মরিয়মকে পাউরুটি খাওয়ানোর কথা বলে অপহরণ করে পালিয়ে যায়। পরে সুমাইয়া মনুর কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা দাবি করে এবং ৬ ঘণ্টার মধ্যে টাকা দিতে ভয়ভীতি দেখায়। দ্রুত টাকা না পেলে সে বাচ্চাটিকে নদীতে ফেলে হত্যা করার হুমকি দেয়।

সংবাদ পেয়ে ২৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থানার এসআই শাহ আলম খলিফা চাঁদপুর হাইমচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

এআর/পিএইচ