দ্বিতীয় দিনে ফের সড়ক অবরোধ অটোরিকশা চালকদের
রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনে ফের রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছেন চালকরা।
আজ (সোমবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুরের মূল সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা। এতে যানচলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টা থেকে অটোরিকশা চালকরা রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে আশপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রামপুরা থানা পুলিশ ও রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ।
মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারি কমিশনার জানান, অটোরিকশা চালকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছিলেন। আধা ঘণ্টার মতো সড়কে ছিল। পরে তাদের মূল সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শাহজাদপুরে মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছেন অটোরিকশা চালকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যামব্রিয়ান কলেজের সামনের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ। রাস্তায় কোনো বাস নেই। সব আটকে আছে সড়কে।
যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাসের অপেক্ষায় রাস্তায় জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যাত্রীদের।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারি কমিশনার শুভ কুমার ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড্ডা শাহজাদপুর ক্যামব্রিয়ান স্কুলের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে অবস্থা নিয়েছেন। যে কারণে ইনকামিং ও আউটগোয়িং দুই লেনে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
আধা ঘণ্টা ধরে এই স্থবির অবস্থা চলছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। তারা আন্দোলনরত চালকদের সঙ্গে কথা বলছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে গতকাল (রোববার) দিনভর মিরপুরে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশা চালকরা। বিক্ষোভকারীরা কালশী মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স পুড়িয়ে দিয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ১০টি যানবাহন।
জেইউ/এনএফ