রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুমের আগুন প্রথম দেখতে পান বিপরীত পাশের ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বাবু মিয়া। আব্দুল লতিফ টাওয়ার থেকে তিনিই প্রথম ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং পানি নিয়ে এগিয়ে যান। এর আগে কয়েকবার অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। তবে এবার সেই প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আগুনের ঘটনায় প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী বাবু মিয়া বলেন, সকালে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের ভবনের ফায়ার ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা করছিলাম। এর মধ্যেই হঠাৎ কারেন্ট চলে যায়। তখন পার্শ্ববর্তী ভবনের ওই জেনারেটরটি চালু হলে অনেক কালো ধোঁয়া বের হতে দেখি। কী হয়েছে সেটা দেখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাই। তখন আগুন দেখে আমাদের ভবনের পানির লাইন থেকে পাইপ লাগিয়ে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করি। ফায়ার এক্সটিংগুইশার বের করে ব্যবহার করি। আশপাশের মানুষজনকেও ডাক দেই। তারপর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম এখানে আসে। সবার চেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের এই ভবনটিতে আগুন নির্বাপণের জন্য পুরো সেফটি রয়েছে। আমি এর আগে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং করেছি। আজকে সেই ট্রেনিং কাজে লেগেছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী চান মিয়া বলেন, আমরাই প্রথম এগিয়ে গিয়েছি। সবার চেষ্টায় আগুন বড় হয়নি।

অপরদিকে আগুনের ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন লা ভিঞ্চি হোটেলের স্টোর কিপার হাসান। তিনি বলেন, খুবই ছোট আগুন ছিল। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের এখানে জেনারেটর ছাড়া আর কোনো কিছু ছিল না। টিনের চালা ঘরে শুধু জেনারেটরটিই ছিল। জেনারেটর পুড়েনি। শুধু ঘরের উপরের টিন এবং সিলিং পুড়েছে। জেনারেটরের কিছু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পাবলিক তিলকে তাল বানায়। রুমের তালা ভাঙতে হয়নি। চাবি দিয়েই খোলা হয়েছে। ওই সময় সিকিউরিটি ওয়াশরুমে থাকার কারণে চাবি আনতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

এর আগে, আজ (শনিবার) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে ছয়টি ইউনিট উপস্থিত হলেও ১টি ইউনিটের চেষ্টায় পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরএইচটি/এমএ