ফাইল ছবি

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য কার্বন অর্থায়নের জন্য আমাদের  নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর জোর দিতে হবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসএস) অডিটোরিয়ামে ‘অ্যাপ্লিকেশন অব কার্বন ফাইন্যান্সিং : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড পলিসি অপশনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কার্বন ফিন্যান্সিংয়ে যেসব অর্থায়ন করে, তা মূলত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেশি করে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি কার্বন ক্রেডিট বাড়াতে অন্যান্য খাত চিহ্নিত করে সেখানেও বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট বাজারে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। দেশের সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর লক্ষ্য নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পও কার্ডন ক্রেডিট অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরএমজি খাতের মতোই সবুজ বনায়ন সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা কার্বন ক্রেডিট অর্জনের উৎস হতে পারে। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেন এবং সাইক্লোন প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে এখন রোল মডেল।

বিআইআইএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন ড. আইনুন নিশাত, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু ইউসুফ, ইডকলের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর মোর্শেদ, বিজিএমইএ’র পরিচালক শামস মাহমুদ, ড. নজরুল ইসলাম, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এনভায়রনমেন্ট স্পেশালিস্ট ইয়ান জু এলিসন য়ি এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএস’র রিসার্স ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর।

সেমিনারে আলোচকবৃন্দ কার্বন ফাইন্যান্স বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

এমএ