গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়ায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সদর উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান টুয়েল, সদর উপ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশারুল হক লিটু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, গোবরা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী সালাউদ্দিন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে লুটুল বলেন, গত ৮ মে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নির্দেশনায় স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে’। নির্বাচনের পরে নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়ায় গেলে আমি দিনব্যাপী সেখানেই সময় দিয়েছি। ১২ মে রাতে ব্যবসায়িক কাজে আমি ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গত ১৪ মে আমার নিজ গ্রামে প্রবীণদের সামনে ধূমপান করাকে কেন্দ্র দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমি জানতে পারি একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কারণ এতে করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমি নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) নামে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওসিকুর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের জলিল ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে চা–বিক্রেতা ছিলেন। ওসিকুর সদ্য সমাপ্ত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন।

জেইউ/এসকেডি