তনির দেওয়া তথ্যে লাখনি কালেকশনে ভোক্তার অভিযান
গুলিস্তান, মিরপুর, টঙ্গী এলাকা থেকে কাপড় সংগ্রহ করে পাকিস্তানি বলে বিক্রির অভিযোগে বন্ধ হওয়া ‘‘সানভি’স বাই তনি” কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার এলিফ্যান্ট রোডের সুবাস্তু এরোমা শপিং কমপ্লেক্সের লাখনি কালেকশনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এমনকি পাকিস্তানি বলে ড্রেস বিক্রির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন অভিযোগকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার (১৩ মে) গুলশান পুলিশ প্লাজার সানভিস বাই তনি শোরুমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। সে সময় তারা পাকিস্তানি ড্রেস ক্রয়ের পক্ষে কোনও ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে পাকিস্তানি ড্রেস লাখনি কালেকশন থেকে (ঠিকানা: ৫১৮/৫১৯ সুবাস্তু এরোমা শপিং কমপ্লেক্স) থেকে ক্রয় করেছেন মর্মে জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের স্বার্থে এবং সানভিস বাই তনির তথ্যের ভিত্তিতে আজ (বুধবার) এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে লাখনি কালেকশনের স্বত্বাধিকারী সানভিস বাই তনি কর্তৃক পাকিস্তানি ড্রেস নামে যে ড্রেসটি বিক্রি করা হয়েছে, সেটি তিনি বিক্রি করেনি মর্মে লিখিত দিয়েছেন।
তবে, পাকিস্তানি বলে কিছু ড্রেস লাখনি কালেকশন বিক্রি করলেও কোনও ডকুমেন্ট/ ইমপোর্টের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করলেও যেখান থেকে ক্রয় করেছে, তার পক্ষেও কোনও ডকুমেন্ট/ক্যাশমেমো দেখাতে পারেনি। এমনকি লাখনি কালেকশন কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেস বিক্রির ক্যাশমেমো দেখাতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে কিছু ক্যাশমেমো তাদের কাছে পাওয়া গেলেও যেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা দেওয়া ছিল না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত সব অপরাধে লাখনি কালেকশনের সব প্রকার কার্যক্রম জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধের আদেশ দেওয়া হলো। এমনকি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রাহকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাপড় সংগ্রহ করে সেগুলো পাকিস্তানি বলে বিক্রির অভিযোগে সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় সানভিস বাই তনি শোরুমে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় বিদেশ থেকে কাপড় আনার কোনো চালান বা আমদানির কাগজপত্র দেখাতে না পারার দায়ে শোরুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টিআই/কেএ