খালে বর্জ্য ফেলা ধরতে পারলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সম্মুখে সপ্তাহব্যাপী চলমান বর্জ্য প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি যেটা মনে করি অবশ্যই আমাদের নিজেদের একটা ইচ্ছা দরকার। যিনি ঢাকা শহরে বাস করেন তিনি কীভাবে একটা নষ্ট ফ্রিজ খালের মধ্যে ফেলতে পারেন। সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা চেঞ্জ করতে হবে। একটা সোফা বা একটি জাজিম কিন্তু কোনোভাবেই খালের মধ্যে ফেলা যায় না। এগুলো কিন্তু অহরহ আমরা আমাদের ড্রেন এবং খাল থেকে উদ্ধার করছি। একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন ধরনের ট্রল হচ্ছে, যে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। কিন্তু পানিটা কি জন্য জমে যাচ্ছে এটা আমরা কেউ চিন্তা করি না।

তিনি বলেন, আমাদের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) আছে। আমরা মেইন বর্জ্য যেখানে ফেলি সেটা হচ্ছে আমিনবাজার ল্যান্ড ফিল্ড। আমাদের বিভিন্ন এলাকায়ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন আছে। সেখানে কিন্তু ইজিলি আমরা বর্জ্য ফেলতে পারি।

মেয়র বলেন, রাতের আঁধারে চোর যেভাবে চুরি করে, ডাকাত যেভাবে ডাকাতি করে, তাদের থেকেও খালে নোংরা ফেলছে, যারা তারা বড় অপরাধী। আমরা একটা মেসেজ সবার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাই শহরকে পরিষ্কারের জন্য আমাদের নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এই শহর আমাদের। এখানে আমরা থাকি। এখান থেকে উপার্জন করি। এখান থেকে পড়ালেখা করি। আমাদেরও কিন্তু দ্বায়িত্ব আছে। দায়িত্বটা কি? নির্দিষ্ট ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় যেন ফেলি। না হলে কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের ড্রেনগুলো আটকে যাচ্ছে, খালগুলো আটকে যাচ্ছে। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ। একটা হলো মানুষের পয়ঃবর্জ্য। আরেকটি হলো কঠিন বর্জ্য। আমি বলেছি যারা যারা বর্জ্য ফেলবে আমি যদি দেখতে পারি, তাহলে এদের জরিমানা করা হবে। এদের যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের শহরকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। এই নগর থেকে আমরা সবাই নিচ্ছি আর নিচ্ছি। আমাদের কিন্তু সময় এসেছে দেওয়ার জন্য। দেওয়াটা কি? নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা, নিজের শহরকে পরিষ্কার রাখা।

ওএফএ/এমজে