চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ মাত্র ১ কোটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখার ৭ কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ মাত্র ১ কোটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, টেন্ডারের কার্যক্রম শেষ হলেও ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ করা হয়নি।

বন্দরের ভাণ্ডার শাখার ৫টি লটে লোহার স্ক্র্যাপসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাগজ/রেকর্ডপত্র, স্টক রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার এবং স্টক করা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংক্রান্ত মালামালের ওজন পরিমাপ সাপেক্ষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা-২ এর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিট পাইল ব্যবহারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের খুলনা অফিস থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন পর্যবেক্ষণে ওই প্রকল্পে মোট ১৪০টি শিট পাইল স্থাপন করার তথ্য পাওয়া যায়।

পরে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ২টি শিট পাইল উত্তোলন করা হয়। এলজিইডি, সাতক্ষীরার ২ জন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপ করে পাইলের দৈর্ঘ্য ৬ মিটারের বদলে ৩ মিটার, অর্থাৎ স্পেসিফিকেশন হতে কম পাওয়া যায়। ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও পাইল শ্রমিকদের বক্তব্য অনুসারে, বাকি সব শিট পাইলের দৈর্ঘ্যও ৬ মিটারের বদলে ৩ মিটারের তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানকালে সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র যাচাই করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

আরএম/পিএইচ