‘তাকে জীবিত দেখতে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম’
‘আজ আমাদের ঈদের দিন। সে ঘরে ফিরবে এর চেয়ে বড় কথা আর নেই। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাকে আমরা জীবিত দেখতে পাব সেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তার জন্য অশেষ শুকরিয়া।’
সোমালিয়া জলদস্যুর কবলে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের অয়েলার পদে থাকা শামসুদ্দিনের দুলাভাই বদরুল হক ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার শ্যালকের সঙ্গে দেখা হয় বদরুলের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
শ্যালককে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বদরুল হক বলেন, আমি শামসুদ্দিনকে নিতে এসেছি। আমাদের ঘরে আজ আনন্দের শেষ নেই। তাকে নিয়ে আনোয়ারায় যাব। ছোট একটা আয়োজন করে তাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি আছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসে কেএসআরএমের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মনি। সেখানে ছিলেন জলদস্যুর কবল থেকে উদ্ধার হওয়া ২৩ নাবিক। এরপর ৪টা ১৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে একে একে নেমে আসেন ২৩ নাবিক। নাবিকদের বরণ করে নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করেছিলেন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা। নাবিকদের কাছে পেয়ে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয় কর্ণফুলী পাড়ে।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৬টায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে নোঙর করে এমভি আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে ২৩ নাবিককে চট্টগ্রামে আনতে চট্টগ্রাম থেকে এমভি জাহান মনি কুতুবদিয়া যায়। সেই জাহাজ জাহান মনিতে করে ২৩ নাবিক চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায়। এরপর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে পৌঁছে জাহান মনি।
আগে ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন জাহাজটি ৩২দিন জলদস্যুর কাছে জিম্মি থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল মুক্তিপণ দেওয়ায় জাহাজ থেকে নেমে যায় জলদস্যুরা।
আরএমএন/এসকেডি