নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

সোমবার (১৩ মে) নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে নানা আয়োজনে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। যিনি সাহিত্য, কলা, সঙ্গীত, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। 

তিনি উপনিবেশবাদ, গোঁড়ামি এবং সমাজের নানা অনাচারের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের বলিষ্ঠ লেখনীর কথা তুলে ধরেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথের অবদানকে স্মরণ করেন। কবিগুরুর ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তার প্রাণবন্ত সঙ্গীত পরিবেশনায় উপস্থিত শ্রোতারা মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। বন্যা সম্প্রতি ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মশ্রী পদক লাভ করেন। 

সঙ্গীত সন্ধ্যার শেষে সুস্বাদু বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিপুল সংখ্যক বাঙালি উপস্থিত ছিলেন। 

কেএ