চট্টগ্রামে দন্তচিকিৎসক কোরবান আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এতে তারা বলেন, ঘটনাস্থলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ছিলেন না, তবু হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র করে তাকে জড়ানো হচ্ছে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান চবিতে বিভিন্ন দায়িত্বপালন করা সাবেক ৬৪ ছাত্রলীগ নেতা। বিবৃতিদাতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দুজন ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন ৩ জন। বাকিরা বিভিন্ন স্তরের সাবেক নেতা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল মনছুর জামশেদ ও মো. আলমগীর টিপু। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান গোলাম রসুল নিশান। তিনি চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চবি শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক। তার পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাকে ও তার পরিবারকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এই জন্য একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থেকেও তার নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এদিকে গোলাম রসুল নিশান বলেন, আমি পুরোপুরি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি চবিতে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। একটি অভিযোগও নেই। আকবরশাহ থানা এলাকায় ঘটনার সময় আমার কোনো অনুসারী উপস্থিত ছিল না। আমি নিজেও ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এরপরও আমাকে জড়ানো হয়েছে এক বিএনপির নেতার ইন্ধনে।

গত ৫ এপ্রিল নগরীর পশ্চিম ফিরোজ শাহ এলাকায় দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর সঙ্গে কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাতাহাতির মধ্যে একটি ইট তার শরীরে লাগে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫দিন পর তার মৃত্যু হয়।

এমআর/এমএ