শেষটা সুন্দর হলো না বাংলাদেশের জন্য। জিম্ববুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। টপ অর্ডারে এদিন আবারও দেখা গেল সেই চিরচেনা ব্যর্থতা। আগের ম্যাচে তানজিদ তামিম এবং সৌম্য ভাল শুরু এনে দিলেও এদিন দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি কেউই। ম্যাচে বাংলাদেশের ত্রাতা হয়েছেন সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। 

ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক শান্ত শুরুর ব্যর্থতার কথা বললেও, ব্যাটারদের কাঁধে দোষ দিতে রাজি নন, ‘আমার মনে হয় যে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি, তারপরে যেভাবে ক্যামব্যাক করলাম... শুরুটা আমাদের ভালো হয় নাই। তারপরে আমরা যেভাবে ক্যামব্যাক করেছি ভালোভাবে ক্যারেক্টার শো করেছি। যেই রানটা করেছিলাম এই উইকেটের জন্য এটা এনাফ ছিল।’ 

অধিনায়ক শান্তর চোখে শেষ ম্যাচে এসে এমন হারের দায় বোলিং ডিপার্টমেন্টে। এমনকি ফিল্ডিংয়ে খানিক ঘাটতির কথাও শোনা গেল তার মুখে, ‘আমরা বোলিংটা ভালো করিনি। ফিল্ডিংয়েও একটু সফট ছিলাম কিছু জায়গায়। জিনিসগুলো হলো যে রাজা এবং যে ব্যাটসম্যানটা রান করল দুইটা ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। কোনো সুযোগই দেয় নাই। এই ক্রেডিট তাদের দিতেই হবে।’ 

তবে সিরিজ নিশ্চিতের পর বাংলাদেশ সিরিয়াস ছিল না এমন কথাও মানতে নারাজ অধিনায়ক, ‘আমরা প্রতি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ খেললাম প্রতি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। একটা ম্যাচও হারতে চাই নাই। হারাটা দরকার ছিল না। ম্যাচ জিতলে ভালো লাগে। সো আজকে জিততে পারি নি। আমার মনে হয় ক্রেডিট জিম্বাবুয়েকে দিতে হবে।’ 

অবশ্য শেষ ম্যাচ হারলেও অধিনায়ক ভাবছেন ইতিবাচক সব দিক নিয়ে, ‘অবশ্যই আমার মনে হয় যে খুব ভালো একটা সিরিজ গিয়েছে। সিরিজ জিতলে অবশ্যই কনফিডেন্ট বাড়ে। তৃপ্তির জায়গা এটা বলব যে আমরা যে যে এক্সপেরিমেন্টগুলো করেছিলাম, যে যে জিনিসগুলো আমাদের দেখার দরকার ছিল যে আমরা ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। টপ অর্ডাররা একটা ম্যাচে খুব ভালো স্টার্ট দিয়েছে। আজকের ম্যাচ যদি দেখেন, মিডল অর্ডার একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। এই রকম বেশ কিছু জায়গা আছে। রিশাদ পুরা সিরিজটাতে আমার মনে হয় খুব ভালো বোলিং করেছে। এই রকম যদি চিন্তা করা যায় তাহলে অবশ্যই অনেক পজিটিভ দিক আছে এবং আমরা যে জিনিসগুলো আশা করেছিলাম, অলমোস্ট আমরা ওই জিনিসগুলোর কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’ 

এই সিরিজের পরেই বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা। দলের কাছে চাওয়া নিয়ে অধিনায়কের বার্তাটা আবারও স্পষ্ট হলো শেষদিনে এসে, ‘আমাদের টিমটা এমন প্রত্যেক জায়গায় কন্ট্রিবিউশন খুব ইম্পর্ট্যান্ট। বোলিং এবং ব্যাটিং। সো আমি অধিনায়ক হিসেবে চাইবো যে বোলাররা প্রতিদিন টিমের হয়ে ভালো কিছু করুক। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা যেন তাদের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করে। এখানে আলাদাভাবে বাড়তি কোনো প্রেশার আমি বোলারদের দিতে চাই না বা কোনো প্রেশার আমি ব্যাটারদেরও দিতে চাই না।’ 

জেএ