মন্ত্রী-এমপিদের ইউটিউব ও ফেসবুক ভেরিফায়েড করার পরামর্শ পলকের
জাতীয় সংসদে মন্ত্রী ও এমপিদের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আপনাদের ব্যক্তিগত চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য দিলে আমরা ফেরিফাই করে দেব। তাহলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সাইফুল ইসলাম সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ফেক ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এটা বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান তিনি।
বিজ্ঞাপন
জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা। যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, নতুন মাধ্যমে ভুল তথ্য, ফিশিং, মাসকিংসহ এ ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে। অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে অনেকের প্রাণহানি হচ্ছে, অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদদের নামে অপপ্রচার হয়। ছাত্রী, বোন, কন্যাদের অনেক ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে অথবা ইমেজ ফটোশপ করে অপপ্রচার, মানহানিকর কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যে কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী, কিশোরীর জীবন দিতে হচ্ছে। এজন্য সময়ের প্রয়োজনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেন আইনের আশ্রয় নিতে পারে।’
মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য পাঠান, তাহলে আমরা ফেরিফাই করে দেব। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না। পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ অন্য সংস্থাগুলো নিয়মিত (অভিযোগ) পাঠাই। এই প্ল্যাটফর্মটা মাল্টিন্যাশনাল, তাদের অফিস বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন নেই। এজন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করছি। যাতে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুমতি না নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে এবং অপব্যবহার করতে না পারে। অভিযোগ করলে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসআর/এমএ