‘সোর্ড অব অনার’ প্রাপ্ত বৈমানিক মারা গেলেন দুর্ঘটনায়
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। এতে বিমানে থাকা দুই পাইলটের মধ্যে অসীম জাওয়াদ নামে একজন মারা গেছেন। তিনি বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হন পাইলট সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, অসীম ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ওই সময় প্রশিক্ষণে সামগ্রিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের জন্যে তিনি পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত সোর্ড অব অনার।
বিজ্ঞাপন
অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে এস.এস.সি ও ২০০৯ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি বাফাতে ট্রেনিং শেষে কমিশন লাভ করেন।
আরও পড়ুন
অসীম PT-6, L-39ZA, F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন।
অসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে বিমান থেকে দুই পাইলট প্যারাশুটযোগে নেমে যায়। পরবর্তীতে নদী থেকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় একজনের।
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির অবস্থান। দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি সেখান থেকে উড়াল দেয়। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
এমআর/এমজে