সরকারি খরচে এবার হজে যাচ্ছেন ৬৩ জন
এবার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন ৬৩ জন। তবে তাদের বিমানের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। গত বছর সরকারি খরচে হজে গিয়েছিলেন ২৩ জন। সে হিসেবে এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সংখ্যা ৪০ জন বেড়েছে।
বুধবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয় সরকারি খরচে হজ পালনকারীদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাসহ প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৬৩ জনের হজ পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনের জন্য মনোনীতদের বিমান টিকিট বাবদ এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা দিতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিরা বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন এবং ১০ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবেন।
সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন যারা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন জামালপুরের মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের মো. নুরুল ইসলাম, নড়াইলের শেখ নওশের আলী, রাজবাড়ির মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, গাইবান্ধার মো. তাজুল ইসলাম সরকার, কুমিল্লার বাহার উদ্দিন রেজা (বীর প্রতীক) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম, গোপালগঞ্জের মো. ফিরোজ ফকির, বরিশালের আল্লামা হারুন-অর-রশিদ, ঝালকাঠির তাজুল ইসলাম চৌধুরী, রংপুরের মো. ফজলাল রহমান, ঝিনাইদহের মো. নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের মো. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম।
সংসদ ভবনের অভ্যর্থনাকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন, কমিটি শাখা-৮ এর মো. জজ মিয়া।
রংপুরের হাফেজ মো. রফিকুল ইসলাম ফারাজী, টাঙ্গাইলের মো. মোন্তাজ আলী, টাঙ্গাইলের কে এম ইমদাদুল আলম (শামিম), গোপালগঞ্জের মো. আ. মান্নান খাঁন ও তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার, গোপালগঞ্জের হাবিবুর রহমান, রংপুরের মো. জয়নাল আবেদীন প্রধান, ঢাকা মিরপুরের মো. আ. মালেক, গাইবান্ধার মো. তোফাজ্জল হোসেন, জয়পুরহাটের মোছা. মাহফুজা বেগম, নাটোরের মো. মারুফ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন, প্রেস উইংয়ের মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অফিস সহায়ক পারুল পারভীন, ব্যক্তিগত সহকারী মো. আজহারুল হক, সহকারী সচিব মীর এমদাদ হোসেন, সহকারী সচিব মোসা. আমেনা খানম, গাড়িচালক মো. আবুল কালাম, গাড়িচালক মোছা. মমতাজ বেগম, উচ্চমান সহকারী মোসা. ছালমা বেগম, ওয়ার্ক চার্জড লাইনম্যান মো. মাইনুদ্দিন, সহকারী সাইন অপারেটর মো. মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আবুল কাশেম, পাওয়ার মেশিন অপারেটর আবু তাহের, সহকারী সচিব মো. মোতাহের হোসেন ও তার স্ত্রী মোসা. হাফেজা আক্তার, পুলিশ পরিদর্শক মো. লুৎফুর রহমান, বার্তাবাহক ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর খন্দকার আজিজুর রহমান ও মো. সাজিদুর রহমান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাপ মিয়া ও মো. আব্দুল মান্নান।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর উচ্চমান সহকারী মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাড়িচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম।
মুন্সিগঞ্জের এ কে এম মজিবুর রহমান, ধানমন্ডির অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জাকির হোসেন ও সর্বপ্রাপ্ত সচিব মো. কুদ্দুস খান।
নাটোরের বর্ষীয়ান নেতা মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ মোল্লার দুই সন্তান সুলতানা পান্না ও মো. মেহেদী হাসান, কুমিল্লার মো. মকবুল হোসেন, জামালপুরের ফারুক আহমেদ, বরগুনার মো. আব্দুল আলীম (বাবুল), ময়মনসিংহের মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর মো. আব্দুস সাত্তার আকন, খুলনার বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান ও পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকারি খরচে হজ পালনে করতে পারবেন।
এনএম/জেডএস