মহাখালীতে ট্রাফিক পুলিশের অ্যাকশন
উধাও যানজট-বিশৃঙ্খলা, ‘বে’ ছাড়া বাস দাঁড়ালেই মামলা
সড়কে যানজট, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা আর মহাখালীর নাম যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। সবশেষ রমজান মাসেও সকাল-বিকাল মূল সড়কে ভোগান্তির নাম ছিল অবৈধ পার্কিং। মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে রাস্তার দুই লেনেই ফুটপাত ঘেঁষে অবৈধ বাস পার্কিং করা হতো। যা যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাত। ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। সড়কে আসছে শৃঙ্খলা।
গত ১৯ মার্চ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়ক পরিষ্কার করা এবং নিয়ম না মেনে সড়কে যারা বাস পার্কিং করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
তবে এবার খোদ ট্রাফিক পুলিশ নিয়েছে শক্ত অবস্থান। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে গৃহীত বেশকিছু কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ। এর ফলও মিলছে নগদে। শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, আমতলী ও কাকলী এলাকা পর্যন্ত। এই এলাকার মূল সড়কে কমেছে যানজট, উধাও হয়েছে যত্রতত্র পার্কিং। ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো যাত্রীবাহী বাসকে। ফলে দৃশ্যত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচলে গতি বেড়েছে। বিশৃঙ্খলা করলেই বাস থামিয়ে সাবধান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নিয়ম না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে থাকা মহাখালী বাস টার্মিনালটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই টার্মিনালে প্রায় ১০৪টি কোম্পানির আন্তঃজেলা বাসের ব্যানার থাকলেও বর্তমানে ৫৪টি বাস কোম্পানি নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এনা, একতা, সৌখিন, রাজীব, অনন্যা, দেশ, পিপিএল ইত্যাদি পরিবহন। টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের মতে, মোট বাসের পরিমাণ প্রায় ১৩০০। এই টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, কক্সবাজার ও উত্তরবঙ্গের প্রায় ১২টি জেলায় মানুষ যাতায়াত করে।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মহাখালী বাস টার্মিনালের ধারণক্ষমতা ৪০০ বাস। বর্তমানে এখানে বাসের সংখ্যা ধারণক্ষমতার প্রায় চার গুণ বেশি। অতিরিক্ত বাস থাকায় প্রধান সড়কসহ আশপাশের রাস্তাগুলোয় পার্কিং করা হচ্ছে। রাতের বেলা মহাখালী ক্রসিং থেকে টার্মিনালের আউট গেট পর্যন্ত ইনকামিং ও আউটগোয়িং প্রায় ১৬০টি বাস, তেজগাঁও এলাকায় ৭০টি ও গুলশান-মহাখালী লিংক রোডে প্রায় ৬০টি বাস অবৈধভাবে পার্কিং করে থাকে। অর্থাৎ রাতের বেলা টার্মিনালের বাইরে অবস্থানরত বাসের পরিমাণ প্রায় ২৯০টি। দিনের বেলা এই সংখ্যা ৮০-১০০টি।
মঙ্গলবার (৭ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক। সড়কে নেই কোনো দখল বাণিজ্য। রাস্তার দুই পাশে বাস পার্কিং করে রাখার সেই দৃশ্যও উধাও। টার্মিনালের সামনে এসে থামানো মাত্র বাসগুলোকে সেখান থেকে অন্যত্র যেতে বলছেন ট্রাফিক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে এই প্রতিবেদক দেখেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী লোকাল ও দূরপাল্লার কোনো বাসকে যত্রতত্র পার্কিং করতে দেওয়া হচ্ছে না, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউটার্নও। ইউটার্ন মোড়ে ট্রাফিক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দুজন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে দূরপাল্লার বাসগুলোর গতি বেড়েছে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
কী এমন উদ্যোগ নিলো ট্রাফিক পুলিশ?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল ৬ মে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন ও শ্রমিক পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাফিক পুলিশ। বৈঠকে মহাখালী টার্মিনাল কেন্দ্রিক যানজটের প্রধান কারণসমূহ শনাক্ত করা হয় এবং সেগুলো সমাধানে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
টার্মিনালকেন্দ্রিক যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে যেসব বিষয় উঠে আসে সেগুলো হলো- টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র্যাম্প স্থাপন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের অভাব।
সমস্যা নিরসনে যেসব করণীয় নির্ধারণ করা হয় তার মধ্যে আছে- মহাখালী বাস টার্মিনালে চলাচল করা অতিরিক্ত বাসের জন্য বিকল্প বাস ডিপোর ব্যবস্থা করা, টার্মিনালের পেছনে জায়গা বৃদ্ধি করা, টার্মিনাল থেকে রেডিসন হোটেল/কাকলী পর্যন্ত গেইটলক সিস্টেম চালু করা প্রভৃতি।
এছাড়া টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেট ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা, টার্মিনালের ভেতরে দীর্ঘদিন অলসভাবে বাস থাকতে না দেওয়া, রাস্তার পাশে কোনো বাস না দাঁড়ানোর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প ও টার্মিনালের সামনের ইউটার্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল ও মহাখালী রেলগেট এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন মাঠপর্যায়ের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা। নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখভাল করছেন গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের কার্যক্রম।
‘বাস বে’ সক্রিয় করা হয়েছে
মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফুর রহমান রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যানচলাচল শৃঙ্খলার স্বার্থে মহাখালীর সামনের সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘বাস বে’গুলো সক্রিয় করা হয়েছে। যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। বাস বে ছাড়া লোকাল যাত্রীবাহী বাস যেমন দাঁড়াবে না, তেমনি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া দাঁড়াবে না। সঙ্গত কারণেই এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। সড়ক ফাঁকা হয়েছে, যান চলাচল গতিশীল হয়েছে। এটি বহাল ও চলমান রাখা সম্ভব যদি পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সম্মানিত যাত্রীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই।
তিনি বলেন, যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধে চালকদের এখন সতর্ক করা হচ্ছে। না মানলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোনো সতর্কতা থাকবে না। নির্দিষ্ট স্টপেজে বাসের যাত্রী গণনা করা হবে। পরের স্টপেজে যাত্রী ওঠানোর আগে সংখ্যা বেশি হলে মামলা খাবে সেই বাস। পেট্রোল পাম্পের বাউন্ডারির বাইরে সড়কে কোনো গাড়ির সারি থাকবে না।
সড়কে তৎপর থাকা গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এ. এস. এম হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান ডিএমপি কমিশনারের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ হলো সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যানজট নিরসন করা। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অনেকগুলো বাস বে আছে। সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশে মহাখালীতে নতুন করে ইনকামিং সড়কে একটি বাস বে চালু করা হয়েছে। এখন যেখানে সেখানে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে।
টার্মিনালে যাত্রী ভরে বের হবে বাস, বে ছাড়া দাঁড়ালে মামলা
এডিসি হাফিজুর রহমান বলেন, টার্মিনাল থেকে বাস বের হবে যাত্রী ভরে। টার্মিনালের সামনে আর কোনো যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না। এরপর কাকলী, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে, খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজ এলাকা ও আব্দুল্লাহপুরে বাস বে আছে। এসব বে’তে শুধু বাস দাঁড়াতে পারবে। টার্মিনাল থেকে বের হয়ে মহাখালীতেও দাঁড়াতে পারবে না। প্রথম দাঁড়াবে কাকলী বাস বে’তে। বাস বে’তে হবে চেকপোস্ট।
বাস বে’তে হবে যাত্রী গণনা
এডিসি জানান, যাত্রী গণনা করবে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের লোকজন। স্টপেজের বাইরে যাত্রী নিলে মামলা হবে। একইভাবে ইনকামিং সড়কে লোকাল বাসের ক্ষেত্রে আমতলী ও কাকলীতে বাস বে’তে দাঁড়াতে পারবে। এরপর সোজা টার্মিনালে আসবে। দূরপাল্লার গাড়ি টার্মিনাল থেকে বের হবে গেইটলক পদ্ধতিতে। কাকলী ছাড়া গেইট খুলতে পারবে না। খুললে বা যাত্রী নিলেই মামলা হবে।
জানতে চাইলে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের চেষ্টা সর্বদাই থাকে। কখনো দৃশ্যমান হয়, কখনো হয়তো হয় না। আমরা এখন মহাখালী এলাকার সমস্যা ও সমাধানের বিষয়গুলো শনাক্ত করে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের অনুরোধে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষ স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করেছেন। চালকদের সঙ্গে আমাদের মাঠপর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যরা কথা বলছেন। অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। বাস চালক ও যাত্রীরাও এই ব্যবস্থাপনায় অনেক খুশি। আমরা মনে করি, সবার সমন্বিত উদ্যোগে সম্পূর্ণ বদলে যাবে মহাখালী। যাত্রা হবে স্বস্তির।
এলাকাগত সীমা নির্ধারণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে টার্মিনালে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বাস চলে আসলে এবং ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ হতে এক লাইনের বেশি বাস দাঁড়াতে না দিলে বাসগুলো ২ কি.মি এলাকাজুড়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। যা সমগ্র এলাকায় যানজট তৈরি করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের এক টিআই বলেন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ না করা এবং সমন্বয়ের অভাবে টার্মিনালে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বাস চলে আসলে এবং ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ হতে এক লাইনের বেশি বাস দাঁড়াতে না দিলে বাসগুলো ২ কি.মি এলাকাজুড়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। যা সমগ্র এলাকায় যানজট তৈরি করে। এরমধ্যে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে। মহাখালীতে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার র্যাম্প স্থাপনের কারণে আউটগোয়িং সড়কে চাপ বেড়েছে। মহাখালী থেকে এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে উত্তরা অভিমুখে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলে আন্তঃজেলা বাসগুলো সহজে ঢাকা মহানগরী পার হয়ে যেতে পারত। এতে নগরীর রাস্তায় চাপ অনেকাংশে কমে যেত। কিন্তু এই বিষয়গুলোর সমাধান হচ্ছে না।
বড় সমাধান হতে পারে টার্মিনালের আয়তন বৃদ্ধি ও সঠিক ব্যবহার
ট্রাফিক পুলিশ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মহাখালী টার্মিনালের মোট আয়তন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৬০৩ বর্গ ফুট। টার্মিনালের পেছনের খালি জায়গার আয়তন ৩১ হাজার ৭৪৪ বর্গ ফুট। একটি বাসের আয়তন ৩২৪ বর্গফুট হিসাবে টার্মিনালের পেছনের জায়গায় বাস ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০টি। অর্থাৎ অব্যবহৃত জায়গা টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করে আয়তন বাড়ানো হলে টার্মিনালের ভেতরেই পার্কিং সুবিধা বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন ট্রাফিক কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছনে অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। সেটি যদি মহাখালী টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করা যায় তাহলে অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে। আশা করছি সহসা এর সমাধান হবে। আর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার একটা র্যাম্প মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে চালু করা হয়েছে। ওঠার জন্য আরেকটি র্যাম্প চালু হলে সড়কের চাপটা আর থাকবে না।
জেইউ/পিএইচ