চট্টগ্রামের আকাশে সোমবার (৬ মে) দুপুর থেকে মেঘের ঘনঘটা। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় বাতাস। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিবেগ। সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত। হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মানুষ খুঁজতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের এনায়েত বাজার এলাকায় দেখা যায়, দুপুরেই যেন সন্ধ্যার আঁধার নেমে এসেছে। বাতাসের তীব্র বেগের কারণে সড়কে যানচলাচল একেবারেই কমে যায়। রিকশা থেকে দ্রুত নেমে লোকজনকে আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ফুটপাতের দোকানিরাও আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী ভবনে। বিকেল ৪টার দিকে সবশেষ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড় থামেনি।

সাফায়েত হোসেন নামের এক পথচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকালেও একটু বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠে। দুপুর থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ৩টার দিকে আচমকা অন্ধকার নেমে আসে। হঠাৎ তীব্র বাতাস আর বজ্রপাত শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টিপাতও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিভিন্ন কলোনির কাঁচা ঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উড়ে যায় বিভিন্ন বাড়ির চাল। এ ছাড়া দৈনন্দিন প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন পড়েন ভোগান্তিতে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার দুপুর ৩টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ মিলিমিটার। আমাদের দপ্তর থেকে ৩ ঘণ্টা পরপর আপডেট দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সন্ধ্যা ৬টার পর পুনরায় আপডেট জানানো হবে।

এমআর/এসএসএইচ