ক্যাডেট কলেজ একটি বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ছাত্রদের বেতন নির্ধারিত হয় অভিভাবেকর আয়ের ওপর নির্ভর করে। সম্প্রতি এ বেতন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

রোববার (৫ মে) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

নাসের শাহরিয়ার জাহেদী প্রশ্ন রেখে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সন্তানদের সুবিধার্থে বেতন বৃদ্ধি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের কোনো ব্যবস্থা করবে কি না প্রস্তাব রাখেন। তিনি বলেন, ১৯ ধাপে ক্যাডেট কলেজসমূহে টিউশন ফি বাড়ানো হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মধ্যে ১৮ নম্বর ধাপে অভিভাবকের যদি ১ লাখ টাকার ওপর আয় হয়, সেখানে টিউশন ফি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। যেটা ৩০ শতাংশ বাড়ালে ২০২৪ সাল থেকে দিতে হবে ২৬ হাজার টাকা। মাঝামাঝি পর্যায়ে অভিভাবকের ৪০ হাজার টাকা যদি ইনকাম হয় তখন বাচ্চার জন্য তাকে দিতে হবে ১৬ হাজার ২৫০ টাকা, যা তার পুরো রোজগারের ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় টিউশন ফি না বাড়িয়ে বরং এটাকে আরও সহনীয় পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণের বিবেচনা সরকার গ্রহণের প্রস্তাব দেন এই সংসদ সদস্য।

এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ক্যাডেট কলেজসমূহে ক্যাডেটদের টিউশন ফি ব্যতীত নিজস্ব আয়ের উৎস না থাকায় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে টিউশন ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলেও তা বৃদ্ধি করা হয়নি। পরে সপ্তম শ্রেণির নবাগত ক্যাডারদের টিউশন ফি ২০টি ধাপে বাড়ানো হয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ধাপে ফি ১০০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ধাপে ২৮ হাজার টাকা করা হয়, যা পূর্বে ছিল ২২ হাজার টাকা।

মন্ত্রী বলেন, অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী সন্তানদের জন্য ক্যাডেট কলেজে একটি করে এনডোমেন্ট ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে অসচ্ছল মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আগের তুলনায় অনেক বেশি ফল ভোগ করবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ক্যাডেট কলেজ সমূহে আইবাস++ পেনশনের বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে করে ক্যাডেট কলেজ সমূহের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদান বন্ধ রয়েছে।

কিছুক্ষণ পর মন্ত্রী বলেন, আমি এই মাত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলাম পেনশন বাবদ যে টাকাটা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে, প্রধানমন্ত্রী সেই অর্থ বরাদ্দের ফাইল সই করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই , সংসদ সদস্য যে প্রশ্ন করেছেন সেই প্রশ্নের সূত্র ধরেই যদি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয় তারা হয়তো বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

এসআর/এমএ