ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপে ঢাকায় এসেছেন।
রোববার (৫ মে) আইওএম মিশন প্রধান আব্দুসসাত্তর এসওএভ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে অ্যামির ঢাকায় আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আব্দুসসাত্তর এসওএভ লেখেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপেকে বাংলাদেশে তার প্রথম সফরে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। চলতি সপ্তাহে ঢাকায় ডিজি কর্তৃক গুরত্বপূর্ণ ইভেন্ট এবং এনগেজমেন্টসহ ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট উদ্বোধনের দিকে তাকিয়ে আছি।
আইওএম মহাপরিচালকের সফরে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, অভিবাসন নিয়ে তারা কাজ করেন। তার মানে অভিবাসন ইস্যুতে ফোকাস থাকবে। আমাদের সঙ্গে তারা মূলত কাজ করছে রিটার্ন এবং ইন্টিগ্রেশনের ওপর। এক্ষেত্রে এখানে ওদের কাজের ফোকাসটা হয়ে গেছে আমাদের লিবিয়া বা বিভিন্ন জায়গায় যেসব লোকজন আটকা পড়ছে তাদের ফিরিয়ে আনা। আইওএম বলকান থেকেও বাংলাদেশিদের আনার চেষ্টা করছে। তাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহায়তা করা, এ বিষয়টাতে তারা বেশি এনগেজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে অভিবাসন ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পাবে জানিয়ে এ কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি আসলে সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনসহ বাংলাদেশ সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। অ্যামি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
গত বছরের (২০২৩) ১ অক্টোবর অ্যামি পোপেকে আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে তিনি প্রথম নারী মহাপরিচালক হন।
অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এনআই/জেডএস