সংগৃহীত ছবি

দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহ ও খরায় পর্যাপ্ত পানির অভাবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিতেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। চালু রয়েছে শুধু একটি ইউনিট। আর সহসাই বৃষ্টি না হলে এটিও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে পুরো কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহ।

তিনি বলেন, এ সময়ে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৮৫ মিটার এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কিন্তু আজ শনিবার (৪ মে) সকাল ৮টায় পানি ছিল ৭৩.৬০ মিটার এমএসএল। সন্ধ্যা ৬টায় পানির লেভেল কমে হয়েছে ৭৩.৫৮ মিটার এমএসএল। প্রচণ্ড গরমে পানির লেভেল দ্রুত কমে যাচ্ছে। পানির লেভেল ৬৮ এমএসএল নেমে এলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এখন যেভাবে পানি কমে যাচ্ছে, তাতে চালু থাকা ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের ২৪২ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। চালু থাকা ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ইউনিট চালু থাকলেও তা থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, বৃষ্টি হলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে। এজন্য বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছি। 

জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বনিম্ন ব্যয় হয় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ইউনিটপ্রতি গড় ব্যয় মাত্র ২৮-৩০ পয়সা। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকে কাপ্তাই লেকে পানি কমতে থাকে। মার্চে গিয়ে তা আরও কমে যায়। এখন একবারেই কমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে যেকোনো সময় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটেরই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আরএমএন/জেডএস