তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতার চর্চা করতে গিয়ে যদি কোনও রিপোর্টার স্থানীয় কোনও প্রভাবশালীর দ্বারা হয়রানির শিকার হন তাহলে সেই রিপোার্টারের পাশে দাঁড়াবে তথ্য মন্ত্রণালয়। একইসাথে তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবো। কারণ তাদের এসব রিপোর্টিং সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসাথে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা। আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করবো। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসাথে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এর র‍্যাংকিংয়ের উদ্যোগ খুব ভালো। তবে তাদের নিকট অনুরোধ, পদ্ধতিগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এরপর আমাদের অবস্থান বা র‍্যাংকিং যা হয় হবে। তবে তারা বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, এ সরকার আমাদের গণমাধ্যমের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। বহু পত্রিকা এবং টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সরকার গণমাধ্যমকে স্বাধীন করলেও আমরা সাংবাদিকরা স্বাধীন হতে পারিনি। কারণ আমরা আমাদের মালিকপক্ষের কাছে পরাধীন। চাইলেই আমরা একটা অসংগতি নিয়ে লিখতে পারি না। বলতে পারি না।

এমএম/পিএইচ