থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে থাইল্যান্ডের সরকারপ্রধান সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যেসব রোহিঙ্গা আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপরে থ্যাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিষয়টি তিনি আরও গভীরভাবে দেখবেন এবং প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবেন।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের এই বিষয়টা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বর্তমানে যে অবস্থাটা চলছে, সেটা নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। তারপরও প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলবে বলেই তারা আশ্বস্ত করেছেন। তার সাথে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলোচনা হয়েছে।’ 

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল এটি। সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। এই সফরে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসআর/এনএফ