শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা দাবি
সংসদ থেকে স্থানীয় সরকার, শিল্প-কারখানা পরিচালনা পর্ষদ থেকে দেশের শাসন কাঠামোর সকল জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে জাগ্রত শ্রমিক বাংলাদেশ।
বুধবার (১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শ্রম অধিকার যাত্রা শুরু হয়ে রাজধানীর পল্টন থেকে বিজয়নগর ঘুরে পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনের দাবিগুলো হচ্ছে— সংসদ থেকে স্থানীয় সরকার, শিল্প-কারখানা পরিচালনা পর্ষদ থেকে দেশের শাসন কাঠামোর সকল জায়গায় শ্রমিকদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৬ মাস অন্তর শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এটি হতে হবে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে দুই শতাংশ বেশি হারে; শ্রমিকের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কায়িক শ্রমিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে এবং 'সার্ভিস বেনিফিট' হিসেবে প্রত্যেক বছরের জন্য এক মাসের বেতন প্রদান করতে হবে।
সমাবেশে জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, আমরা স্বাধীন হয়েছি শ্রম বৈষম্য নিরসনের কথা বলে, কিন্তু আজ শ্রম বৈষম্য স্মরণ কালের সবচেয়ে বেশি। যে শ্রমিকের উৎপাদনে এতো এতো উন্নয়ন, তার জীবন মানের এতো দুরবস্থা কেন? কারণ আজও শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হয়নি। এখনই সময় হে বাংলার শ্রমিক জাগ্রত হও, লড়াই করো, শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করো।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাগ্রত শ্রমিক বাংলাদেশের আহ্বায়ক রুবেল উকিল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন ভূঁঞা প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি