ভোলার লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দ পাওয়া অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় হতে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে দুইটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে বরিশাল দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযানকালে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাদ্রাসার অনুকূলে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। অভিযানকালে এলাকাবাসীর বক্তব্য পর্যালোচনায় ওই প্রতিষ্ঠানে সামগ্রিক কাজ না করে আংশিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়। 

অভিযানকালে উল্লিখিত বরাদ্দের ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অন্যদিকে, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও ফতেয়াবাদ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। 

এছাড়া, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।

আরএম/কেএ