টিকাদানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে ছোট থেকেই তারা সুস্থ-সবল থাকবে। এজন্য যদি সিটি কর্পোরেশনের আরও ভ্যাক্সিনেটর প্রয়োজন হয়, সিটি কর্পোরেশন সেটিরও ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের সফলতা।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ই-ট্র্যাকার জিআইসের কল্যাণে সব শিশুর তথ্য আমাদের কাছে চলে আসছে। এটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য ভালো একটা উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচওর টিমলিডার আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র  বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

জানা গেছে, ইউনিসেফের সহযোগিতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলি রিপোর্টিং ভিত্তিত চলে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যের লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ২০১৮ সাল থেকে কর্মজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ থেকে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালে ৭৯ হাজার ৫৩২ ও ২০২৪ সালে ৩৯ হাজার ৫৯১ শিশু টিকাদান সেবা গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, ভাসমান জনগোষ্ঠী ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ডিএনসিসির এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিওগুলো।

এএসএস/কেএ